এবার পাকিস্তান যাওয়ার পথে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা

এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী। অবশ্য হামলায় কেউ হতাহত হননি।

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ
 রয়টার্স প্রতীকী ছবি

পাকিস্তানে যাওয়ার পথে লোহিত সাগরে একটি কনটেইনারবাহী জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ বন্দর থেকে করাচি বন্দরে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী।

ইউনাইটেড-৮ নামের জাহাজটি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এমএসসি মেডিটেরেনিয়ান শিপিং কোম্পানির মালিকানাধীন। হামলার ঘটনায় জাহাজে থাকা নাবিকদের কেউ আহত হননি বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।

কোম্পানিটি আরও বলেছে, হামলার শিকার হওয়ার বিষয়টি কাছে থাকা টহল জোটের যুদ্ধজাহাজকে জানানো হয়। একই সঙ্গে হামলাকারীদের ফাঁকি দিতে জাহাজের পথ পরিবর্তন করা হয়।

টেলিভিশনে সম্প্রচার করা এক বক্তব্যে হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, সতর্ক করার পরও নাবিকেরা সাড়া না দেওয়ায় এমএসসি ইউনাইটেড নামের জাহাজটিতে হামলা চালিয়েছে হুতি যোদ্ধারা।

পৃথক ঘটনায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লোহিত সাগরে আকাশ পথে চালানো হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি।

টেলিভিশনে সম্প্রচার করা এক বক্তব্যে হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, সতর্ক করার পরও নাবিকেরা সাড়া না দেওয়ায় এমএসসি ইউনাইটেড নামের জাহাজটিতে হামলা চালিয়েছে হুতি যোদ্ধারা।

ইয়াহিয়া আরও বলেন, ইসরায়েলের ইলাত বন্দর ও অন্যান্য এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। অবশ্য ইসরায়েলের পরিবর্তে তিনি দখলকৃত ফিলিস্তিন উল্লেখ করেছেন। তবে হামলা সফল হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, মার্কিন যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের মাধ্যমে লোহিত সাগরে হুতিদের ছোড়া ১২টি ড্রোন, ৩টি জাহাজ–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ২টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে গত অক্টোবর থেকে লোহিত সাগরে বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে হুতিরা। তাদের ভাষ্য, ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।