পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের উচিত ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ধন্যবাদ জানানো। আজ শনিবার এ মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেছেন, শাহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে পিটিআই কোনো বাধার সৃষ্টি করছে না।
পাকিস্তানে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় নিহত পিপিপির এক নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে শনিবার করাচির ওরাঙ্গি টাউন এলাকায় যান বিলাওয়াল। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পিটিআইয়ের প্রতিও আলাদাভাবে ধন্যবাদ জানাতে হবে শাহবাজ শরিফকে।’
বিলাওয়াল বলেন, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা (ইমরান) হয়তো শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি। এ জন্য পিপিপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শাহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে কখনো কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি তাঁর (ইমরান) দল। আর কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে যে দলটি (পিএমএল-এন) পিপিপির কাছে এসেছিল, পিপিপি তাদের প্রতিই সমর্থন জানিয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে সবচেয়ে বেশি আসন পান ইমরান খান–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। তবে কোনো দলই কেন্দ্রে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গঠনে একটি সমঝোতায় পৌঁছায় পিএমএল-এন ও পিপিপি।
ওই সমঝোতা অনুযায়ী, শাহবাজের প্রধানমন্ত্রী হতে প্রয়োজনীয় সমর্থন দেবে বিলাওয়ালের পিপিপি। এর বিনিময়ে সাংবিধানিক কিছু পদে বসবেন পিপিপি নেতারা। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোনো পদে থাকবেন না তাঁরা। সরকার গড়তে পিএমএল-এনকে সমর্থন দিতে রাজি হয়েছে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানসহ (এমকিউএম) আরও কয়েকটি ছোট দল।
এদিকে পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে নানা মামলায় কারাবন্দী ইমরান খানের পিটিআইসহ কয়েকটি দল। সে ধারাবাহিকতায় আজও বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদে আইনপ্রণেতাদের শপথ নেওয়ার দিন প্রদেশের রাজধানী করাচিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। ধরপাকড়ও চালানো হয়।