পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ছোট বোন মরিয়ম রিয়াজ বাত্তু জানিয়েছেন, কারাবন্দী বোন বুশরার জীবন এখন বিপদের মুখে। ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বুশরা। দ্রুত তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন।
দুর্নীতির মামলায় পিটিআই নেতা ইমরান খানের সঙ্গে বুশরাও সাজা পেয়েছেন। বুশরা এখন ইমরানের ইসলামাবাদের বানিগালার বাড়িতে আছেন। ওই বাড়িকে সাব-কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে। আর ইমরানকে রাখা হয়েছে আদিয়ালা কারাগারে।
বড় বোনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মরিয়ম রিয়াজ জিও নিউজকে বলেন, ‘আমি বোনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে আছি। কারা কর্তৃপক্ষ বুশরার সঙ্গে খুব বাজে আচরণ করছে।’
বুশরার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব আদিয়ালা কারা সুপারিনটেনডেন্টের। তথ্যপ্রমাণ বলছে, কারা কর্তৃপক্ষ সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এক্সে দেওয়া পোস্টে এ অভিযোগ তুলেছেন বুশরার বোন মরিয়ম রিয়াজ।
মরিয়ম রিয়াজ পেশায় শিক্ষাবিদ। থাকেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। পোস্টে মরিয়ম রিয়াজ জানান, বুশরার মেয়ে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিল। তখন জানা গেছে, ছয় দিন আগে বুশরাকে খুবই কড়া স্বাদের কিছু খেতে দেওয়া হয়েছিল। এতে বুশরার গলা ও পাকস্থলী পুড়ে গেছে। এ কারণে ছয় দিন ধরে বুশরা কিছুই খেতে পারছেন না। ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছেন বুশরা।
মরিয়ম রিয়াজ জানান, যে নারী পুলিশ সদস্য বুশরাকে ওই খাবার খেতে দিয়েছিলেন, তাঁকে ঘটনার পরপর সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ জানিয়ে মরিয়ম রিয়াজ বলেন, বুশরা এত অসুস্থ, তার পরও তাঁকে কোনো চিকিৎসক দেখানো হয়নি। এমন বিলম্বে বুশরার বড় কোনো শারীরিক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কেননা, আত্মসমর্পণ করার সময় বুশরা পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। তাঁর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা এমন কোনো রোগ ছিল না।
অবিলম্বে বুশরার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে কামনা করেছেন মরিয়ম রিয়াজ।
এর আগে গত বুধবার বুশরার মুখপাত্র ও পিটিআইয়ের আইনজীবী মাশাল ইউসুফজাই এক এক্স পোস্টে জানান, বুশরার খাবারে অ্যাসিডজাতীয় কিছু একটা দেওয়া হয়েছিল। আর সেটা বুশরাকে প্রচণ্ড শারীরিক যন্ত্রণা দিচ্ছে।
বুশরা বিবির পাকস্থলীতে তীব্র প্রদাহ হচ্ছে। মুখ ও গলায় গুরুতর ক্ষত হয়েছে। এ কারণে পানি ও চায়ে ভিজিয়ে শুকনা টোস্ট ছাড়া আর কিছু খাওয়া তাঁর জন্য কঠিন হয়ে গেছে। তিনি চরম যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, এমনটাই জানিয়েছেন পিটিআইয়ের আইনজীবী মাশাল।
ইমরানপত্নী বুশরার বয়স এখন চল্লিশের কোটায়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে টেলিভিশনে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বুশরা। এরপর আর কখনোই তাঁকে সংবাদমাধ্যমের সামনে দেখা যায়নি। বুশরা সাধারণত আড়ালে থাকতে পছন্দ করেন। সব সময় নিজেকে নেকাবে ঢেকে রাখেন তিনি।