সাইফার মামলায় গ্রেপ্তার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খানের বিচার কার্যক্রম কারাগারে অনুষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশির বিচারও হবে কারাগারের অভ্যন্তরে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভা আজ সোমবার এ–সংক্রান্ত অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ–সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, নিরাপত্তার কারণে কারাগারে ইমরান খানের বিচারের ব্যবস্থা (জেল ট্রায়াল) করা প্রয়োজন। পরে তা অনুমোদন পায়।
ইমরান খানকে গত ৫ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে তাঁকে পাকিস্তানের কুখ্যাত অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে তাঁকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তখন ইমরান খান তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। পরে তাঁকে সাইফার মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। কোরেশিকেও একই কারাগারে রাখা হয়েছে।
তবে কারা অভ্যন্তরে বিচার করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেছেন ইমরান খান। আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে যুক্তি তলব করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার আন্তআদালত আপিলের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছিল ইমরান খানকে। কারাগারে বিচার করার বিরুদ্ধে করা ইমরান খানের আপিল ১৬ অক্টোবর ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুকের নেতৃত্বে একক বেঞ্চ খারিজ করে দেন। পরে একক বেঞ্চের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তআদালতে আপিল করেন ইমরান খান।