পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় গত জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত ৯১৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বিদেশে সরকারি সফর স্থগিত করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানেও অতিবৃষ্টি ও বন্যা হয়েছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলছে, দেশটির বেলুচিস্তান, সিন্ধু, পাঞ্জাব (দক্ষিণ) ও খাইবার প্রদেশের বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বসতবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের আবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দেশটিকে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৭৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সময়ে ৮২ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ৭১০টি গবাদিপশু মারা গেছে।
এনডিএমএ বলছে, ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এ বছর দেশটিতে ৪০০ জন মারা গেছে। যাদের মধ্যে ১৯১ জন নারী। আহত হয়েছে প্রায় এক হাজার মানুষ। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শেরি রহমান বলেন, চলতি মাসে দেশটিতে গড়ে ১৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২৪১ শতাংশ বেশি। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সিন্ধু প্রদেশে। সেখানে স্বাভাবিকের চয়ে ৭৮৪ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা খুবই আশঙ্কাজনক। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেরি রহমান বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিভিন্ন প্রদেশের সেতু এবং যোগাযোগ অবকাঠামো ভেসে গেছে। তিনি বলেন, ‘সিন্ধু প্রদেশের ২৩টি জেলাকে দুর্যোগপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এবং এনডিএমএসহ প্রাদেশিক সরকারগুলো উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে। দুর্যোগে প্রায় ৩ কোটি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।