পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমছেই। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ৩ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হিসাব অনুসারে, চরম আর্থিক সংকটে থাকা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ১৭ কোটি ডলার কমে গেছে। এখন এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯০ কোটি ডলার। খবর ডনের।
পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে অর্থ চায়। এ নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে। তবে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ অর্থ ছাড় এখনো হয়নি, আলোচনায় আটকে আছে।
আইএমএফের অর্থ ছাড় পেলে পাকিস্তানের পক্ষে অন্য উৎসগুলো থেকেও ঋণ পাওয়া সহজ হবে। আর এর ফলে দেশটির অর্থনীতিতে গতি আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান বলেছে, ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
এদিকে পাকিস্তানের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কোটি ডলার। এর ফলে দেশের মোট নগদ বৈদেশিক রিজার্ভ হয়েছে ৮৫০ কোটি ডলার।
পাকিস্তানের আর্থিক প্রতিষ্ঠান আরিফ হাবিব লিমিটেড হিসাব করেছে যে রিজার্ভ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর সর্বনিম্ন অবস্থায় আছে। এ রিজার্ভ দিয়ে দুই সপ্তাহের কিছু বেশি আমদানি মূল্য পরিশোধ করা যাবে।
আগের দিন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছিলেন, সরকার এবং আইএমএফের মধ্যে আলোচ্য বিষয়গুলো আজই নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুদ্রাসংকটে থাকা পাকিস্তান আইএমএফের কাছে থেকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ সুবিধা পেতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। চরম অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে এটাই এখন পাকিস্তানের মূল ভরসা।
ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান আইএমএফ অবশ্য ঋণ দেওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে আছে স্থানীয় মুদ্রার জন্য বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হার এবং জ্বালানি ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়া। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি বিনিময় হারের ওপর একটি সীমা তুলে দিয়েছে এবং সরকার জ্বালানির দাম ১৬ শতাংশ বাড়িয়েছে।