পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) কেন্দ্রে সরকার গঠনের বিষয়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে আলোচনার খবর নাকচ করে দিয়েছে। পাশাপাশি আজ বৃহস্পতিবার তারা দেশব্যাপী ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
ইতিপূর্বে আজ বৃহস্পতিবার খবর বেরিয়েছে, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দী ইমরান খান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী পিপিপির ব্যাপারে তাঁর অবস্থান নরম করেছেন। তিনি পিপিপি ও পারভেজ খাট্টকের নেতৃত্বাধীন পিটিআই–পির সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে রাজি হয়েছেন। পিটিআই থেকে বেরিয়ে পারভেজ পিটিআই–পি গঠন করেন।
পিটিআইয়ের একটি সূত্র জিওনিউজকে বলেছিল, আদিয়ালা কারাগারে বন্দী ইমরান খান পিপিপির সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি। এই দলটি ইতিমধ্যে পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী শাহবাজ শরিফকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে।
পিটিআইয়ের নেতা মুহাম্মদ আলি সাইফ সরকার গঠনে পিপিপির সঙ্গে যোগাযোগের খবর অস্বীকার করেছেন। সাংবাদিকদের এই আইনজীবী বলেন, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা পিপিপি ও পিএমএল–এনের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে ‘কঠোরভাবে’ নিষেধ করেছেন।
মুহাম্মদ আলি বলেন, ‘পিপিপির সঙ্গে সরকার গঠনের আলোচনার খবর সঠিক নয়। পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা পিপিপি ও পিএমএল–এনের সঙ্গে আলোচনা নয়, দলের সদস্যদের পার্লামেন্টে বিরোধী আসনে বসার পরামর্শ দিয়েছেন।’
পরে রাওয়ালপিন্ডিতে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে গহর খান ও শের আফজান মারওয়াতও বিলাওয়ালের নেতৃত্বাধীন দলের সঙ্গে জোট গঠনের খবর নাকচ করে দিয়েছেন।
মারওয়াত আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খান সাহেবকে পিপিপির বার্তা সম্পর্কে জানিয়েছি। জবাবে খান সরাসরি পিপিপি ও পিএমএল–এনের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব নাকচ করে দেন।’
অধিকন্তু, গহর পিপিপি ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় পিটিআই–পির সঙ্গে রাজনৈতিক জোট গঠনের বিষয়ে গণমাধ্যমের খবর পরিষ্কারভাবে নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘আমরা পিটিআই–পির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছি না।’
জামায়াত–ই–ইসলামি, জমিয়ত উলামা–ই–ইসলাম–ফজলসহ (জেইউআই–এফ) অন্য যেসব দল ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে বিশ্বাস করে, সেসব রাজনৈতক দলকে আগামী শনিবারের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান পিটিআই নেতা।