পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ৯০০ ফুট উঁচুতে ঝুলন্ত কেব্ল কারে আটকে পড়া ৬ শিশুর মধ্যে ৫ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ১০ ঘণ্টা চেষ্টার পর তাদের উদ্ধার করেছে পাকিস্তান সেনবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী দল। তবে এখনো এক শিশু ও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বাত্তাগ্রাম জেলার ডেপুটি কমিশনার তানভির উর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে কেব্ল কারে করে শিশুরা স্কুলে যাচ্ছিল। এ সময় কেব্ল কারের একটি তার ছিঁড়ে যায়। এতে কেব্ল কারে থাকা শিশুসহ আট আরোহী আটকা পড়েন।
তানভির উর রহমান বলেন আরও বলেন, দুর্ঘটনার আগে ওই কেব্ল কার একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। কিন্তু দমকা হাওয়ার কারণে কেব্ল কারটির কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না।
উদ্ধারকারী দল একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে উৎসুক জনতা পাহাড়ি এলাকায় ভিড় জমিয়েছেন। তাঁরা হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকারী দলের তৎপরতা দেখছেন।
চেয়ারলিফটের আরোহী গুলফরাজের বরাতে পাকিস্তানের জিও নিউজ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর কেব্ল কারে থাকা দুটি শিশু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাঁদের উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার সব জরাজীর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ কেব্ল কার অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের প্রত্যন্ত ও পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক শিশু স্কুলে যাওয়া-আসার জন্য কেব্ল কারের ওপর নির্ভর করে। তবে এগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করার অভিযোগ আছে।
দমকা হাওয়া ও অন্ধকারের কারণে মঙ্গলবারের উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সকালে আবারও অভিযান শুরু করবে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। স্থানীয় পদ্ধতিতে আটকে পড়াদের কাছে পানি ও শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।