গোপন তারবার্তা ফাঁসের মামলায় বিচারিক কার্যক্রম কারাগারে পরিচালনার বিরুদ্ধে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের আপিল খারিজ করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মিনাগুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারপতি সামান রাফাতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেন।
ইমরান খান ও পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে গত আগস্টে কূটনৈতিক তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। এর এক দিন পর ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে ইমরান ও কুরেশি—দুজনই কারাগারে বন্দী। এরই মধ্যে পিটিআই চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে মামলার বিচারকাজ কারাগারে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার।
গতকাল ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পিটিআইয়ের প্রধান আইনজীবী সালমান আকরাম রাজা বলেন, ইমরান খানের বিচারকাজ কারাগারে পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। তিনি আরও বলেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ ঘোষণা দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ মামলা পরিচালনার জন্য পছন্দমতো বিচারক নিয়োগ দিতে পারবে। তবে সরকারের এমনটি করার ক্ষমতা নেই।
জবাবে আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেন, ইমরানের নিরাপত্তার জন্যই কারাগারে বিচার পরিচালনা করা হবে।
এদিকে গত সোমবার পাকিস্তানের বিশেষ আদালতে ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশিকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে করা তারবার্তা ফাঁসের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন। একটি কূটনৈতিক তারবার্তার বরাতে তিনি তখন দাবি করেছিলেন, তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর মধ্যকার একটি কথোপকথনের বিস্তারিত প্রকাশ করে। গত বছরের ৭ মার্চের ওই কথোপকথনে ইমরানের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।