নওয়াজ শরিফ যদি এখন থেকে নিজেকে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করেন, তাহলে তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সঙ্গে হাত মেলাবে না পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের ফল নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তার মধ্যে এই মন্তব্য করেছেন পিপিপির নেতা খুরশীদ আহমেদ শাহ।
পাকিস্তানের সাধারণ পরিষদের নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাগারে থাকা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এনের মধ্যে।
যদিও আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে ভোটের ফলে পিটিআই ও পিএমএল-এন—দুই দলই নিজেদের বিজয়ী দাবি করেছে।
নওয়াজ গতকাল শুক্রবার বলেছেন, এবারের নির্বাচনে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছে পিএমএল-এন।
এ পরিস্থিতিতে জোট গড়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন নওয়াজ। এ জন্য ভোটের লড়াইয়ে নিজ দলের পরের অবস্থানে থাকা পিপিপির সঙ্গে আলোচনা করছেন তিনি। গত রাতে লাহোরে পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন নওয়াজ।
এর আগে পিপিপির নেতা খুরশীদ আহমেদ শাহ বলেন, ‘নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চান। কিন্তু আমি মনে করি, তিনি যদি এখন থেকেই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করেন, তাহলে আমার দল জোট গড়বে না।’
পিপিপির নেতা-কর্মীরা চান, তাঁদের দলের প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। এই পরিস্থিতিতে নওয়াজের জোট গড়ার আহ্বান ও তাঁর দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা অবিবেচকের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন খুরশীদ আহমেদ শাহ।
তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে বেশির ভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে জিতলেও তাঁরা যেকোনো দলে যোগ দিতে ৭২ ঘণ্টা সময় পাবেন।
২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পিপিপি ও পিএমএল-এন একসঙ্গে জোট গড়েছিল।