পিটিআই নেতা গিল গ্রেপ্তার, ইমরানের ‘নিরাপত্তায়’ অতিরিক্ত পুলিশ

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের সঙ্গে পিটিআই নেতা শাহবাজ গিল (ডানে)
ছবি: টুইটার

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা শাহবাজ গিলকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জনগণকে উসকে দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে গ্রেপ্তার গুঞ্জনের মধ্যেই পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের বানিগালা বাসভবনের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ। খবর জিও নিউজের।

গতকাল মঙ্গলবার ইসলামাবাদ পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়া এবং জনগণকে বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ায় শাহবাজ গিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, জেলা প্রশাসনের অভিযোগের ভিত্তিতে গিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অধীনে কোহসার থানায় মামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এক দিন আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা উসকে’ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে এই পিটিআই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

গিলকে গ্রেপ্তার নয়, ‘অপহরণ’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান। টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। এতে গিলের গাড়িচালককে বলতে শোনা যায়, পিটিআই নেতাকে নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁকে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভিডিওতে গিলের গাড়ির দরজার কাচ ভাঙা দেখা যায়।

ইমরান খান বলেন, ‘এটা অপহরণ, গ্রেপ্তার নয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে কি এমন ঘটনা ঘটতে পারে? রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে শত্রুর মতো আচরণ করা হচ্ছে। এ সবই একটি বিদেশি মদদপুষ্ট দুর্বৃত্তদের সরকার আমাদের মেনে নিতে বাধ্য করবে।’
এ নিয়ে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার হলেন গিল। এর আগে গত ১৭ জুলাই পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক পরিহিত নিরাপত্তা কর্মী নিয়ে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, গ্রেপ্তার গুঞ্জনের মধ্যে ইমরান খানের নিরাপত্তায় পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) সঙ্গে জোট করে পাঞ্জাবে ক্ষমতায় আছে পিটিআই।

পিএমএল-কিউ নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুনিস এলাহি টুইটে লিখেছেন, ‘বানিগালার দিকে কিছু লোকজন (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) পাঠানোর কথা শুনলাম। নিরাপত্তার জন্য আমরা পাঞ্জাব পুলিশ পাঠাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ইমরান খানের ক্ষতি করার সব প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে। মুনিস বলেন, ইমরান খানের কাছে যেতে হলে যে কাউকে আগে পাঞ্জাব সরকার ও জনগণকে পার হতে হবে।

তবে ইসলামাবাদ পুলিশের মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেছেন, বানিগালার আশপাশে কোনো ধরনের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ‘নিরাপত্তার’ জন্য ৭৬ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।