পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ইমরান খানকে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া জোরদার করেছে। গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে এ কথা বলেছে ইসিপি। রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির তথ্য গোপন করায় গত অক্টোবরে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পার্লামেন্টে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা ও তাঁর সদস্যপদ খারিজ করে ইসিপি। এর ধারাবাহিকতায় ইসিপি এখন পিটিআই চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইমরানকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করার কথা জানিয়েছে। খবর ডনের।
ইসিপির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আরশাদ আদালতকে বলেন, ২০ ডিসেম্বর রেফারেন্সের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালত ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা মামলায় ইসিপির আবেদনের ওপর রায় সংরক্ষিত করে রেখেছেন। গত ২২ নভেম্বর আদালত কমিশনের আবেদন গ্রহণ করেন। আজ বৃহস্পতিবার এর রায় ঘোষণা করার কথা।
ইমরানের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগটি তোশাখানা বিতর্ক হিসেবে পরিচিত। ইসিপি ৫ ডিসেম্বর ইমরান খানকে এই বিতর্কের জের ধরে পিটিআই চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করে। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি আমের ফারুক ইসিপির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিআইয়ের আপিল গ্রহণ করেছেন। তবে সময়ের স্বল্পতার কারণে পরবর্তী কার্যক্রম ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। ইমরান খানের আইনজীবী কমিশনের ঘোষণাকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন।
পিটিআই নেতারা বলছেন, একটি দলের প্রধানকে সরানোর কোনো আইনি ভিত্তি ইসিপির নেই। কোনো দণ্ডিত ব্যক্তির একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নেই।
চলতি বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরানের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতন হয়। তাঁর পতনের পর শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন ইমরান। তিনি আগাম নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন।