৩৭ বছরের পুরোনো মামলায় খালাস নওয়াজ শরিফ

নওয়াজ শরিফ
নওয়াজ শরিফ

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে ৩৭ বছরের পুরোনো একটি মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। গত শনিবার বিচারক রাও আবদুল জব্বার এ রায় দেন। নওয়াজ শরিফ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।

১৯৮৭ সালে একটি গণমাধ্যমের মালিককে অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ তুলে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই মামলার বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে আবেদন করেন তাঁর ভাতিজা ইউসুফ আব্বাসসহ কয়েকজন।

আদালতে করা আবেদনে বলা হয়, মামলার শুনানির সময় নওয়াজ শরিফ অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। পরে আদালতের নির্দেশে ওই প্লটগুলো নিলামে তোলা হয়। তবে ওই জমিগুলোর মালিক নওয়াজ শরিফ ছিলেন। তাই ওই নিলাম বৈধ হয়নি।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী মিসবাহুল হাসান। তিনি আদালতকে বলেন, মামলার প্রধান আসামি (প্লট বরাদ্দ পাওয়া গণমাধ্যমের মালিক) এবং লাহোর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে এরই মধ্যে খালাস দেওয়া হয়েছে। প্রধান আসামিদের খালাস দেওয়ায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে, এই মামলার অভিযোগগুলো সত্য নয়।

নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল পাকিস্তানের জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (এনএবি)। আদালতে সংস্থাটির আইনজীবী তাঁর খালাসের বিরোধিতা করেননি। পরে দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে নওয়াজ শরিফকে খালাস দেন আদালত।

১৯৮৭ সালে করা মামলায় এনএবি অভিযোগ করেছিল, লাহোরের জোহর টাউন এলাকায় অবৈধভাবে ৫৪টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। তিনি তখন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই বরাদ্দের কারণে পাকিস্তান সরকারের ১৪ কোটি ৩০ লাখ রুপি ক্ষতি হয়েছে।

পরে গত বছরের জানুয়ারিতে প্লট বরাদ্দ পাওয়া গণমাধ্যমের মালিক ও লাহোর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে খালাস দেন পাকিস্তানের একটি আদালত। ২০১৬ সালে আলোচিত ‘পানামা পেপারস’ ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে অর্থ পাচারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলের নাম উঠে আসায় নিজ দেশে চাপের মুখে পড়েন তিনি। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেন নওয়াজ শরিফ।