পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলায় একতরফাভাবে প্রতিবেশী দেশের ওপর হামলা করা কোনো দেশেরই উচিত নয়। গতকাল বুধবার পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটিতে গত মঙ্গলবার রাতে ‘বিধিবহির্ভূতভাবে’ বিমান হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে দুই শিশু নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন জলিল আব্বাস জিলানি। এ সময় আবদুল্লাহিয়ানকে জিলানি বলেন, ‘এ বিপজ্জনক পথ বেছে নেওয়াটা আঞ্চলিক কোনো দেশেরই উচিত নয়।’
ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনায় যে শুধু পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয়েছে তা নয়, এতে আন্তর্জাতিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভাবধারারও গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিলানি আরও বলেন, এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের আছে। তিনি মনে করেন, এ অঞ্চলের জন্য সন্ত্রাসবাদ একটি অভিন্ন হুমকি। তবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একতরফা ব্যবস্থা নেওয়া হলে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা জানান তিনি। জিলানির মতে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ বলেন, তাঁর দেশ থেকে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তেহরান থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মুমতাজ জাহরা আরও বলেন, পাকিস্তান ও ইরানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্ধারিত সফরগুলোও স্থগিত করা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের ‘গ্রিন মাউন্টেন’-এ সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।