পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ধরপাকড় চালিয়ে তাঁর দলের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতাদের দল থেকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। দলটির একের পর এক নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল বুধবার লাহোরের নিজ বাসভবন থেকে দেওয়া ভিডিও ভাষণে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনগুলো বলছে, চলতি মাসের শুরুতে ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে সড়কে বিক্ষোভ–সহিংসতার ঘটনায় কর্তৃপক্ষ পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) হাজারো কর্মী-সমর্থককে আটক করেছে।
ইতিমধ্যে পিটিআইয়ের মুখপাত্র এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী দল ছেড়েছেন। আর দলের মহাসচিব এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর বলেছেন, তিনি দলীয় পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন, কিন্তু পিটিআই-এর সঙ্গেই থাকবেন।
গত মঙ্গলবার পিটিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিরিন মাজারি দলের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পর ফাওয়াদ চৌধুরী এবং আসাদ উমরের ঘোষণাগুলো আসে।
এ তিন নেতার প্রত্যেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সড়কে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে আটক হয়েছিলেন। নিরাপত্তা হেফাজত থেকে বের হয়ে তাঁরা এসব ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার রাতে এক ভিডিও ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘এমন দমন-পীড়নের ঘটনা পাকিস্তানের ইতিহাসে আমি আর দেখিনি। যদি বলেন আপনারা পিটিআইয়ের সদস্য, তাহলে আপনাদের দমন-পীড়ন এবং সহিংসতার কবলে পড়তে হবে। বন্দী করা হবে। আর যদি সে জাদুকরী শব্দগুলো বলেন যে আমরা আর পিটিআইয়ের সঙ্গে নেই, তাহলে ছাড়া পাবেন।’
ইমরানের দাবি, দলের পদস্থ নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের সমর্থকদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
লাহোরে নিজ বাড়ি থেকে দেওয়া ভাষণে ইমরান বলেন, ‘তারা সবাইকে জেলে পাঠিয়েছে। এখন কার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে সেটাও আমি জানি না।’
পিটিআইয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন টুইটারে। বিক্ষোভ-সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে ওই টুইটার পোস্টে তিনি রাজনীতি থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দেন।
আর উমর সংবাদ সম্মেলন করে পিটিআইয়ের মহাসচিব পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে তাঁকে কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হয়নি।