পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, গত বৃহস্পতিবারের জাতীয় নির্বাচনে তাঁর দলের (পিটিআই) সমর্থকেরা সবাইকে চমকে দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় প্রচারিত এক ভাষণে পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ইমরান খান এ কথা বলেন।
পাকিস্তানে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সর্বশেষ ঘোষিত ফল অনুযায়ী পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এই কথা বলেছেন ইমরান খান।
শুক্রবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি ইমরান খানের একটি বক্তব্য প্রচার করা হয়। সেখানে তিনি বলেন, নজিরবিহীনভাবে জাতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এতে জাতীয় নির্বাচনে পিটিআই বিজয়ী হয়েছে।
পাকিস্তানিদের উদ্দেশে ইমরান খানকে তাতে বলতে শোনা যায়, ‘পাকিস্তানের জনগণ, আপনারা ইতিহাস গড়েছেন। আমি আপনাদের নিয়ে গর্বিত। পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।’
ইমরান খান আরও বলেন, ‘এখন আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। শেষ কথা বলতে চাই, চিন্তা করবেন না। (বিজয়) উদ্যাপন করুন আর সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিন। দুই বছরের জুলুম ও অন্যায়ের পরও আমরা দুই–তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছি। প্রত্যেকে নিজেদের ভোটের শক্তি দেখেছেন এবার আপনাদের ভোটকে রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকুন।’
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএলএন) নেতা নওয়াজ শরিফের সমালোচনা করে ইমরান খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘কোনো পাকিস্তানি তাঁকে মেনে নেবে না।’ ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ইমরান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সংবাধমাধ্যমগুলোও ভোট জালিয়াতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সর্বশেষ (শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা) তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৪৫ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাঁদের বেশিরভাগই পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। এরপরই ৬৯ আসনে জয় পেয়েছে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল। তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি। তাঁর দল পেয়েছে ৫২ আসন। এ ছাড়া এমকিউএম ১৫ আসনে এবং অন্যান্য দল ১০টি আসনে জয়ী হয়েছে।