পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে আজ মঙ্গলবার তিনি গ্রেপ্তার হন। এর আগে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ইমরান।
পাকিস্তানি সাংবাদিক এহতেশাম উল হক তাঁর টুইটার থেকে ইমরান খানের দেওয়া ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন।
ভিডিও বার্তায় কর্মী–সমর্থকদের উদ্দেশে পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান বলেন, ‘যতক্ষণে আমার কথা আপনাদের কাছে পৌঁছাবে, ততক্ষণে একটি অবৈধ মামলায় আমাকে বন্দী করা হবে। পাকিস্তানে আমাদের মৌলিক ও আইনি অধিকারের দাফন হয়ে গেছে। এরপর হয়তো আপনাদের সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হবে না। তাই দু-তিনটি কথা বলতে চাই।’
ইমরান খান বলেন, ‘প্রথমত, পাকিস্তানের মানুষ আমাকে ৫০ বছর ধরে চেনে। আমি কখনোই পাকিস্তানের আইনের বিরুদ্ধে যাইনি বা নিয়ম ভাঙিনি। ক্ষমতায় যাওয়ার পর আমি যত লড়াই করেছি, তা আইনের গণ্ডির ভেতরে থেকে করেছি। এখন যা হচ্ছে সেটা আমি আইন লঙ্ঘন করেছি বলে হচ্ছে না, এসব করা হচ্ছে যাতে করে আমি সত্যের পথ থেকে পিছু হটি। এই দুর্নীতিগ্রস্ত চোরের দল ও আমদানি করা (বিদেশি মদদে ক্ষমতায় আসা) সরকারকে যেন আমি মেনে নিই।’
২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের এই ভিডিও বার্তার শেষ দিকে ইমরান বলেন, ‘আপনাদের সবার কাছে আমার আবেদন, ন্যায়ের জন্য লড়তে সবাই পথে নামুন। স্বাধীনতা কাউকে থালায় সাজিয়ে দেওয়া হয় না, এর জন্য লড়াই ও পরিশ্রম করতে হয়। এখন সময় এসেছে পথে নামার।’
ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর পিটিআইয়ের নেতারা কর্মী–সমর্থকদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করার ডাক দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে চারজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে গ্রেপ্তার করার পর ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে রাখা হয়েছে নাকি অন্য কোথাও নেওয়া হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইসলামাবাদ পুলিশের টুইটার পেজে জানানো হয়েছে, ‘আল–কাদির ট্রাস্ট মামলায় (ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলায়) ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
স্থানীয় টিভিতে প্রচারিত সংবাদে দেখা যায়, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে জড়ো হয়েছেন পিটিআইয়ের কয়েক শ কর্মী–সমর্থক। সেখানে তাঁদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘাত শুরু হয়।