গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)–এর নতুন মহাপরিচালক হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ আসিম মালিককে নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির নিরাপত্তা সূত্র ও স্থানীয় টেলিভিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ এ পদে ২০২১ সালের পর এই প্রথম পরিবর্তন এল। অবশ্য পাকিস্তানি আইএসপিআরের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে আইএসআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক তদন্তের মুখে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করার অভিযোগে একজন সাবেক আইএসআই প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমরান অভিযোগ করেন, বর্তমান আইএসআই প্রধান নাভিদ আঞ্জুমের অধীন সংস্থাটিকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারকের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়ার ঘটনা ঘটে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এসব চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, আইএসআইয়ের গোয়েন্দারা বিচারকদের ওপর ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলার রায় দিতে চাপ দিচ্ছেন।
আইএসআইয়ের পরিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞাত একটি সূত্র বলেছে, নতুন নিয়োগ পাওয়া আইএসআইপ্রধান মালিক সেনাবাহিনীতে এ্যাডজুডিকেট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ট লিয়াভেনওর্থ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন। জিও নিউজের প্রতিবেদনেও এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসআইপ্রধানের দায়িত্ব দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিবেদন দেওয়া, তবে তিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের নিয়ন্ত্রণে থাকেন।
ইমরান খান ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে আইএসআইপ্রধানকে নিয়োগ করা নিয়ে ২০২১ সালে মতবিরোধের ঘটনা ঘটে। এর কয়েক মাস পরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিচারকের ওপর চাপ প্রয়োগ বা রাজনীতিতে কোনো ভূমিকার কথা অস্বীকার করা হয়। তবে তিন দশকের বেশি সময় পাকিস্তান শাসন করা ও সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখার নজির রয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর।