পাকিস্তান ‘আসন্ন দুর্যোগের’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের অখণ্ডতা আজ হুমকির মুখে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র করছে ক্ষমতাসীন জোট।
গতকাল বুধবার লাহোরে নিজ বাসভবন জামান পার্ক থেকে ইমরান খানের একটি ভিডিও ভাষণ প্রকাশ করা হয়। সেখানে তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থামাতে একমাত্র সমাধান নির্বাচনের আয়োজন করা।
ভিডিওতে ইমরান খান বলেন, ‘দেশের সংবিধানের অবমাননা হলে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেলে, এমনকি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুর্নাম হলেও, লন্ডনে পালিয়ে থাকা নওয়াজ শরিফ এবং পিডিএম নেতারা খুব একটা উদ্বিগ্ন হন না। নিজেদের লুটপাট করা সম্পদ বাঁচানোই তাঁদের স্বার্থ।’
ভিডিও বার্তায় ইমরান যখন কথা বলছিলেন, তখন তাঁর বাসার চারপাশ ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি একটি ভয়ংকর স্বপ্ন দেখছি, তা হলো পাকিস্তান একটি ‘আসন্ন দুর্যোগের’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের কাছে আমার আহ্বান, নির্বাচনের আয়োজন করুন এবং দেশকে বাঁচান।’
দুর্নীতির অভিযোগ এনে ৯ মে ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর সেদিন পাকিস্তানের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ইমরান খান বলেন, এটা ছিল একটি ‘খাঁটি ষড়যন্ত্র। ক্ষমতাসীন জোট ও পাঞ্জাব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে একটি ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’
পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘সময় এসেছে পাকিস্তানের ক্ষমতাধরদের আবার বাস্তবসম্মত চিন্তাভাবনা করার, না হলে দেশ পূর্ব পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতিতে পড়বে।’
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমালোচনা করা নিয়ে পিটিআই প্রধান বলেন, ‘যখন আমি সেনাবাহিনীর তিরস্কার করি, এটা অনেকটা এমন যে আমার সন্তানদের সমালোচনা করছি।’
এ সময় সাম্প্রতিক একটি জরিপের কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ তাঁর দল পিটিআইয়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ রয়েছে ক্ষমতাসীন জোটের দলগুলোর সঙ্গে।