পাকিস্তানের গিলগিট বালতিস্তানের আস্তোর জেলায় তুষারধসে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ জন। গিলগিট বালতিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (জিবিডিএমএ) বলেছে, এখন পর্যন্ত আটজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ বলেছে, শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে শাউন্টার টপ পাসে তুষারধস হয়। ঘটনার সময় গুজজার নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ২৫ ব্যক্তি তাঁদের গবাদিপশু নিয়ে কাশ্মীর থেকে আস্তোরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁরা তুষারধসের কবলে পড়েন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাকি মৃতদেহগুলো উদ্ধারের জন্য জরুরি সেবা বিভাগ রেসকিউ ১১২২, জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় লোকজন সম্মিলিতভাবে অভিযানটি পরিচালনা করছে।
ইতিমধ্যে জিবিডিএমএ বলেছে, ১৩ জনকে আহত অবস্থায় আস্তোরে ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার্স (ডিএইচকিউ) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে গিলগিট বালতিস্তানের দিয়ামের-আস্তোর ডিভিশন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক তুফায়েল মীর ডনকে জানান, দুর্গত এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারী দলকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এ প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি হতাহত ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা করেছেন এবং শোকাহত মানুষের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
শেহবাজ শরিফ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব থেকে পাকিস্তানের মতো উন্নয়নশীল দেশকে বাঁচাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গিলগিট বালতিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খালিদ খুরশিদ খানও প্রাণহানির এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।