পাকিস্তানে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)। ক্ষমতাসীন পিএমএল–এনের চেয়ে জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে আছে দলটি। আগে করা জরিপ ও মাঠের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পাকিস্তানের প্রধান দুই দল এখন পিটিআই ও পিএমএল-এন। সর্বশেষ করা জরিপের বরাত দিয়ে সূত্রগুলো বলছে, জনপ্রিয়তায় দিন দিন পিএমএল-এনকে ছাপিয়ে যাচ্ছে পিটিআই। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সময় পিটিআইয়ের জনপ্রিয়তা যতটা ছিল, এখন তার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় দল এটা। অপর দিকে ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়ের চেয়ে পিএমএল–এনের জনপ্রিয়তা আরও কমেছে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। ফলে আগামী পাঁচ সপ্তাহকে দলগুলোর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। কারণ, এ সময় দলগুলোর নির্বাচনী প্রচারণা জোরালো হবে। এ কারণে এ সময়টাতে প্রতিদিনই ভোটারদের অবস্থানের পরিবর্তন হতে পারে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা নিয়ে সর্বশেষ গত জুন-জুলাইয়ে জরিপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ। তাতে দেখা যায়, ভোটারদের মধ্যে ৩৮ শতাংশই পিটিআইকে পছন্দ করেন। এ ছাড়া ভোটারদের ১৬ শতাংশের সমর্থন ছিল পিএমএল-এনের প্রতি।
এর বাইরে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১০ শতাংশ পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), ১৫ শতাংশ তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি), ৯ শতাংশ জামায়াতে ইসলামী (জেআই) এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) প্রতি সমর্থন ছিল ৬ শতাংশ ভোটারের।
ভোটারদের ৬০ শতাংশের সমর্থনে ইমরান খানই ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক। এর পরে সাদ রিজভী ও পারভেজ এলাহী ৩৮ শতাংশ, শাহ মাহমুদ কুরেশি ৩৭, নওয়াজ শরিফ ৩৬, শাহবাজ শরিফ ৩৫, মরিয়ম নওয়াজ ৩০ আর শহীদ খাকান আব্বাসীর ১২৮ শতাংশ সমর্থন ছিল।