হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি, স্বস্তিতে ইমরান

তোশাখানা দুর্নীতি মামলার দণ্ড স্থগিতে ইমরান খানের করা আবেদনের বিষয়ে আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

ইমরান খান
রয়টার্স ফাইল ছবি

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। চলতি মাসের শুরুতে দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত ইমরানের জন্য গতকাল সোমবারের এই রায়কে একধরনের স্বস্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল রাজ্জাককে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে গত জুনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই মাসেই কোয়েটায় গাড়িতে এসে কে বা কারা ওই আইনজীবীকে হত্যা করেছিল। রাজ্জাকের ছেলের অভিযোগ, ওই হত্যাকাণ্ডে ইমরানের হাত ছিল।

মামলা থেকে অব্যাহতির খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইমরান খানের আইনজীবী নাইম পানজুথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য।’ তবে এ আদেশের বিষয়ে তাৎক্ষণিক সরকারি আইনজীবীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। অনাস্থা ভোটের আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে চাওয়ার এ ঘটনা অসাংবিধানিক ছিল দাবি করে ইমরানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার প্রক্রিয়া শুরু করতে আদালতে পিটিশন করেছিলেন রাজ্জাক।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, দৃশ্যত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে ক্ষমতা হারিয়েছেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়। রাষ্ট্রীয় উপহার কেনাবেচায় দুর্নীতিচর্চার অভিযোগে চলতি মাসে ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন একটি আদালত। বর্তমানে তিনি ‘আটক’ কারাগারে সাজাভোগ করছেন।

দণ্ডিত হওয়ায় ইমরান খান পাঁচ বছর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এবং কোনো দলীয় পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। পাকিস্তানে নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নতুন জনশুমারির ভিত্তিতে সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণের অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন আগামী বছর নাগাদ পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে, তোষাখানা মামলায় দণ্ড স্থগিতে ইমরান খানের করা আবেদনের বিষয়ে গতকাল বিকেলে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।