পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের একটি অডিও রেকর্ডিং নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অডিওটি ফাঁস হয়। এতে শাহবাজকে এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতারা দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর পরিবারের ব্যবসায়িক স্বার্থকে সামনে রেখে সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী গতকাল তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে অডিওটি প্রকাশ করেন। এতে একজনকে বলতে শোনা যায়, মরিয়ম নওয়াজ শরিফ তাঁকে তাঁর (মরিয়মের) মেয়ের জামাই রাহিলকে ভারত থেকে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানির সুবিধা দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। দাবি করা হচ্ছে, যিনি এ কথাগুলো বলছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তখন ফোনের ওপর প্রান্ত থেকে একজন বলেন, ‘যদি আমরা তা করি, বিষয়টি ইসিসি ও মন্ত্রিসভায় গেলে আমরা অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হব।’ ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি কোনো সরকারি কর্মকর্তা।
তখন শাহবাজ শরিফ দাবি করা ওই ব্যক্তি বলেন, ‘মেয়ের জামাই মরিয়ম নওয়াজের খুব প্রিয়। তাঁকে (মরিয়মকে) এ বিষয়ে খুব যৌক্তিকভাবে বলুন। এরপর আমি তাঁর (মরিয়মের) সঙ্গে কথা বলব।’ তিনি আরও বলেন, এমনটি করলে রাজনৈতিকভাবে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
অডিওর অন্য কণ্ঠটি তখন নওয়াজ শরিফের জামাইয়ের আবাসন ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত আরেকটি বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ইত্তেহাদ পার্ক হাউজিং সোসাইটিতে একটি গ্রিড স্টেশন বসাতে হবে। তখন প্রধানমন্ত্রী দাবি করা ওই ব্যক্তি বলেন, এটি স্বভাবিক প্রক্রিয়ায় করা উচিত। সরকারি ওই কর্মককর্তা এ সময় সাবেক অর্থমন্ত্রী ইশাক দারকে এ ইস্যুতে যুক্ত করার পরামর্শ দেন। কারণ, তাঁর ধারণা, ইশাক দার বিষয়টি আরও ভালো সামাল দিতে পারবেন।
মরিয়ম নওয়াজের মেরে মেহরুন্নিসা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শিল্পপতি চৌধুরী মুনিরের ছেলে রাহিলকে বিয়ে করেন। তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত ছিলেন।
তবে প্রকাশিত এ অডিওর বিষয়ে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মারিয়ুম আওরঙ্গজেব এবং নওয়াজ শরিফের পক্ষ জিসান মালিকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।