পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) এবার জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম—ফজলের (জেইউআই-এফ) সঙ্গে জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যৌথভাবে লড়াই করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। শনিবার জেইউআই-এফের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে বৈঠক করেন পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গওহর আলী খান। এ সময় দলটির শীর্ষ নেতা আসান কায়সার, শিবলী ফারাজ, রউফ হাসান ও আখুনজাদা হোসাইন ইউসুফজায়ী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে পিটিআইয়ের মুখপাত্র রউফ হাসান বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
দীর্ঘদিন ধরে দল দুটির মধ্যে মতবিরোধ ছিল। তবে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে কারচুপির অভিযোগ এনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ হয়। এতে শামিল হয় তারাও। গত মাসে পিটিআই নেতা ও জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার জেইউআই-এফের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই বৈঠকে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কমিটি পর্যায়ে আলোচনায় বসার জন্য আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনায় বসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করে পিটিআই। অপর দিকে জেইউআই-এফও কামরান মুর্তজা মাওলানা লুৎফর রহমান, মুফতি ফজল গহর, আসলাম ঘাউরি ও মাওলানা আমজাদকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে।
তখন মুফতি ফজল দাবি করেছিলেন যে সরকারকে নির্বাচন আয়োজনে বাধ্য করতে জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের দলের সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন। পাশাপাশি খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদও ভেঙে দিতে সম্মত হয়েছে দলটি। তবে পিটিআই চেয়ারম্যান গওহর আলী খান এই দাবি নাকচ করে দেন। বৈঠক শেষে পিটিআইয়ের মুখপাত্র রউফ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, গতকালের বৈঠকে দুই দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। এ সময় পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে নিতে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।