পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমারন খানের মুক্তির দাবিতে লাহোরের কাহনায় সমাবেশ করেছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)। আজ স্থানীয় সময় বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সমাবেশের জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছিল পিটিআই। সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই অসংখ্য নেতা–কর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। দলটির নেতারাও একে একে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। কিন্তু স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর শহর কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়।
সমাবেশের অনুমতি নিয়ে পাঞ্জাব সরকার ও পিটিআইয়ের মধ্যে টানাপোড়েন শেষে গত শুক্রবার রাতে ৪৩ শর্তে পিটিআইকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ না করায় পুলিশ মঞ্চে উঠে মাইক ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়।
পিটিআই চেয়ারম্যান গহর আলী খান ও অন্য নেতারা মঞ্চ থেকে চলে যান। গহর ছাড়া অন্য বড় নেতা সেখানে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে পারেননি।
পিটিআইয়ের নেতারা এ সমাবেশ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন বাধার অভিযোগ করেন। প্রতিবন্ধকতা তৈরির জন্য সরকারকে দোষারোপ করে পিটিআই নেতা শওকত আলী ইউসুফজাই দাবি করেন, তাঁদের গাড়িবহর পথে বাধার সম্মুখীন হয়। বাধা দূর করার জন্য তাঁরা সঙ্গে যন্ত্রপাতি বহন করেন।
পিটিআই নেতা ওমর আইউব, খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দারপুর সমাবেশে উপস্থিত হতে পারেননি।
লাহোরের ডেপুটি কমিশনার সতর্ক করে বলেছেন, সমাবেশের অনুমতির শর্ত ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর সলামাবাদের উপকণ্ঠে বড় সমাবেশ করে দলটি। ওই সমাবেশ থেকে ইমরান খানকে মুক্তি দিতে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
সমাবেশে গওহর আলি খান বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া অন্য কিছু তাঁর দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।