পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দেশটির পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে।
ইমরান পাকিস্তানের প্রথম সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে এই ‘কুখ্যাত’ কারাগারে রাখা হলো।
রাষ্ট্রীয় উপহার (তোশাখানা) কেনাবেচাসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় গত শনিবার ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি আদালত।
সাজা ঘোষণার পরই ইমরানকে তাঁর লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে অ্যাটক জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
রাওয়ালপিন্ডি-পেশোয়ার রেলপথের ধারে পাঞ্জাব শহরের কেন্দ্রস্থলে অ্যাটক কারাগারটি অবস্থিত।
সড়কপথে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যানকে অ্যাটক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় কারাগারের দিকে যাওয়ার সব সড়কে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি। তারা সড়কগুলো ঘিরে রাখে। এ ছাড়া অ্যাটক কারাগারের চারপাশে মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও এলিট ফোর্স।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কারা কর্মকর্তা ডনকে বলেন, ইমরানকে কারাগারের একটি ভিভিআইপি সেলে রাখা হয়েছে। সেলটিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণের সুবিধা নেই, তবে সেলের ভেতরে একটি ফ্যান, একটি বিছানা ও একটি শৌচাগার আছে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ১৯৯৯ সালে অ্যাটক দুর্গে বন্দী রাখা হয়েছিল। পরে তাঁকে সৌদি আরবে নির্বাসনে পাঠানো হয়।
অ্যাটক দুর্গ ও অ্যাটক কারাগার পৃথক স্থানে অবস্থিত। একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।
১৫৮১ থেকে ১৫৮৩ সালে মোঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে অ্যাটক দুর্গ নির্মাণ করা হয়।
১৯০৫ থেকে ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ সরকার অ্যাটক কারাগারটি নির্মাণ করে। কারাগারটি ৬৭ একর জমির ওপর নির্মিত।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিদ্রোহে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করে রাখার জন্য অ্যাটক কারাগারটিকে ব্যবহার করতেন ব্রিটিশ শাসকেরা। এটি এখন পাকিস্তানের একটি উচ্চ নিরাপত্তার কারাগার হিসেবে বিবেচিত। এখানে বিপজ্জনক বন্দীদের রাখা হয়।
বার্তা সংস্থা এপি বলছে, অ্যাটক কারাগারটির কুখ্যাতি রয়েছে। এখানে থাকা বন্দীদের মধ্যে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়া জঙ্গিও আছে।