পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বুধবার রাতে ইসলামাবাদে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীকে।
এক বিবৃতিতে পিটিআই বলেছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ১২ মে পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করার পরও ফাওয়াদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়ার আগ মুহূর্তে সাংবাদিকদের ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। আমাকে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনা সেই চ্যালেঞ্জেরই অংশ।’
ইমরান খানকে গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদের আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার পিটিআইয়ের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও দলটির মহাসচিব আসাদ ওমরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমরান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পথে তিনি গ্রেপ্তার হন।
এ ছাড়া ইমরান খান সরকারের সাবেক জ্বালানিমন্ত্রী মুহাম্মদ হাম্মাদ আজহারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি আরও নয়জন নেতার বাসায় তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে পিটিআই।
পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল। অবশ্য পরে এই নেতা বিবৃতি দিয়ে জানান, তিনি গ্রেপ্তার হননি।
এদিকে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর এখনো উত্তাল পাকিস্তান। তাঁর দল পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। পেশোয়ারে চারজনসহ বুধবার পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে পিটিআই দাবি করেছে, দুদিনের বিক্ষোভে ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এরপরও থামছে না বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুই প্রদেশে সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি চলছে। দেশের কোথাও কোথাও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।