পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো–চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। তিনি পাকিস্তান তেহরিক–ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত সুন্নি ইত্তিহাদ কাউন্সিলের প্রার্থী মাহমুদ খান আচাকজাইকে হারিয়েছেন।
আজ শনিবারের এ নির্বাচনে জারদারি পেয়েছেন ৪১১ ভোট। আচাকজাই পেয়েছেন ১৮১ ভোট। অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুযায়ী, জোট সরকারের মনোনীত প্রার্থী জারদারি জাতীয় পরিষদ এবং সিনেট থেকে ২৫৫ ভোট পেয়েছেন আর আচাকজাই ১১৯ ভোট পেয়েছেন।
পাকিস্তানের নির্বাচিত আইনপ্রণেতারা গোপন ব্যালটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট, নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ এবং পাঞ্জাব, সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখাওয়া ছাড়া সবকটি প্রাদেশিক পরিষদে পরাজিত হন আচাকজাই। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে এসআইসিতে যোগ দিয়ে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সেখানে সরকার গঠন করেছে।
আজকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আসিফ আলী জারদারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শরিক দলগুলো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আসিফ আলী জারদারিকে সমর্থন দিয়েছে।
নির্বাচনে পরাজিত হলেও তাঁকে সমর্থনের জন্য পিটিআইকে ধন্যবাদ জানান আচাকজাই। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ইসলামাবাদে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনের সবচেয়ে অস্বাভাবিক বিষয় ছিল যে প্রথমবারের মতো ভোট কেনা বা বিক্রি করা হয়নি। পাকিস্তানে কিছু লোক আছে, যারা মনে করে যে পাকিস্তানে সবকিছু কেনাবেচা করা যায়।’ এর আগে তিনি সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ শেষ না হওয়ার উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দাবি প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
এদিকে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি তাঁর বাবা ও দলের প্রার্থী আসিফ আলী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে শুভকামনা জানিয়েছেন। নির্বাচনে সাফল্যের জন্য আসিফ আলি জারদারিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও।