মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার

সরকার গঠন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র

পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন অনেক মার্কিন আইনপ্রণেতা। এরপরও পাকিস্তানের নতুন সরকার গঠনে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে ওয়াশিংটন। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, পাকিস্তানের সরকার গঠন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়।

গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে প্রশ্ন করা হয়, পাকিস্তানে যে জোট সরকার গঠন করা হচ্ছে, তারা আসলেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে কি না?

জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘সরকার গঠনের আগে আমি এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কোনো দেশে যদি রাজনীতিকেরা জোটগতভাবে সরকার গঠনের দিকে এগোন, তা ওই দেশের নিজের সিদ্ধান্ত। এটি এমন কোনো বিষয় নয় যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের দরকার আছে।’

এর আগে গত মঙ্গলবারও পাকিস্তানের সরকার গঠনকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বর্ণনা করেন ম্যাথু মিলার। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের সরকার গঠন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।’

৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আসনে জয় পেয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া পাকিস্তান মুসলিম লীগ–নওয়াজ (পিএমএল–এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) অন্য কয়েকটি দল নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।

এদিকে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের হারানো হয়েছে অভিযোগ করে আন্দোলন করছে দলটি। তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকটি দলও নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। ভোটে কারচুপির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাতে সাড়া দেয়নি পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ বিষয়ে ম্যাথু মিলার আবারও বলেছেন, ‘নির্বাচনে অনিয়মের যেকোনো অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দেখতে চাই আমরা।’