পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নির্বাচনে বিজয় দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জনগণ তাঁর দলকে জেতানোর পক্ষে নিজেদের রায় দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া পোস্টে এসব কথা বলেছেন ইমরান।
তবে কারাবন্দী এ নেতা মনে করেন, ভোট গণনার প্রক্রিয়া যেন সুষ্ঠু হয়, তা নিশ্চিত করাটা এখন জরুরি।
এক্স পোস্টে ইমরান খান বলেন, ‘জনগণের চাওয়াকে দমিয়ে রাখতে সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ নেওয়ার পরও আজ নির্বাচনে বিপুল অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জনগণ তাঁদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। আমরা বারবারই বলেছি, যেটা সময়ের দাবি, তাকে কোনো শক্তি দিয়েই ঠেকানো যায় না।’
ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনব্যবস্থার ওপর অনেকেরই ‘অনাস্থা’ থাকার পরও গতকাল পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোয় বেশ ভিড় দেখা গেছে। কিন্তু রাত পেরিয়ে গেলেও ভোটের ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দেশটির মানুষকে। ভোট গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর ফলাফল ঘোষণা শুরু করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি)।
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হওয়ার কথা। তবে নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই গতকাল ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে। কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে ১৩৪টি আসনে জিততে হবে।
তবে ইমরান খান এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। পাকিস্তানে জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের নেতা ইমরান খান। একাধিক মামলায় সাজা পেয়ে তিনি এখন কারাগারে। তাঁর দলের নেতা-কর্মীরাও দমন-পীড়ন ও মামলায়-হামলায় বিপর্যস্ত। নিজেদের দলীয় প্রতীক না পেয়ে তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন।