পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনকক্ষ
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনকক্ষ

পাকিস্তানে হট্টগোল-বিক্ষোভের মধ্যে শপথ নিলেন পার্লামেন্ট সদস্যরা

পাকিস্তানের নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন বসেছে আজ বৃহস্পতিবার। সকালে অধিবেশনের শুরুতে পার্লামেন্টের নতুন সদস্যদের (এমপি) শপথ পড়ান স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ।

তবে নির্বিঘ্ন ছিল না ১৬তম জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন। অধিবেশনে হট্টগোল হয়েছে। বিক্ষোভ করেছেন পার্লামেন্টের পিটিআই-সমর্থিত সদস্যদের অনেকেই।

আজ জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলুল (জেইউআই-এফ) এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যরা।

প্রভাবশালী রাজনীতিকদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি, মওলানা ফজলুর রহমান শপথ নিয়েছেন।

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অধিবেশন শুরু হয়। এরপর পিটিআই-সমর্থিত পার্লামেন্ট সদস্যরা স্পিকারের আসনের পাশে জড়ো হয়ে হট্টগোল, বিক্ষোভ করেন। পিটিআই-সমর্থিত সদস্যরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়েছেন।

আজকের অধিবেশনে বিক্ষোভ করা হবে, এটা আগেই জানিয়েছিলেন পিটিআই-সমর্থিতরা। তাঁদের অভিযোগ, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এর প্রতিবাদে তাঁদের বিক্ষোভ ও হট্টগোল।

এ সময় স্পিকার তাঁদের শান্ত করে নিজ নিজ আসনে বসার আহ্বান জানান। পরে নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের সবাই শপথ নেন।

শপথ নেওয়ার পরপর পিটিআই-এসআইসির আইনপ্রণেতারা পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলার অনুমতি দেওয়ার দাবি তোলেন। তবে স্পিকার এ দাবি মানেননি।

স্পিকার জানিয়ে দেন, শপথ নেওয়া পার্লামেন্ট সদস্যদের সবাইকে আগে রেজিস্ট্রারে সই করতে হবে। তার আগে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলার সুযোগ নেই।

এ সময় পিটিআই-এসআইসির আইনপ্রণেতারা ‘কয়েদি নম্বর ৮০৪’ বলে স্লোগান দেন। দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে পিটিআই নেতা ইমরান খান এখন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। সেখানে তাঁর কয়েদি নম্বর এটা।

বিপরীতে পিএমএল-এনের পার্লামেন্ট সদস্যদের ‘ঘড়ি চোর’ বলে স্লোগান দিতে শোনা গেছে।