পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কূটনৈতিক তারবার্তা হারিয়ে ফেলার কথা আবারও স্বীকার করেছেন। গত শনিবার জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ কথা স্বীকার করেন। তবে তারবার্তাটি ঠিক কোথায় হারিয়েছেন, তা মনে করতে পারছেন না বলে জানান। প্রায় এক ঘণ্টাকাল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
খোয়া যাওয়া তারবার্তার বিষয়ে পাঞ্জাবের আটক কারাগারে বন্দী ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফআইএ) সাইবার অপরাধ বিভাগের একটি দল। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন এফআইএর উপপরিচালক আইয়াজ খান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তারবার্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে নানা প্রশ্ন করেন তদন্ত দলের সদস্যরা। ইমরান খান তদন্ত দলকে সহযোগিতা করেন এবং ধৈর্যের সঙ্গে তাঁদের সব প্রশ্নের উত্তর দেন।
এক সমাবেশে দেখানো কাগজটি তারবার্তা ছিল না বলে জানান ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘যে কাগজটি আমি লোকজনের উদ্দেশে প্রদর্শন করেছিলাম, সেটা ছিল মন্ত্রিসভার কার্যবিবরণী, তারবার্তা নয়।’
ইমরান খান দাবি করেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নথিটি সঙ্গে রাখার অধিকার তাঁর ছিল। কিন্তু জনসমক্ষে ওই নথিকে তারবার্তা বলে কেন প্রদর্শন করেছিলেন, সে প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দেননি।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, তারবার্তার বিষয়ে তদন্তের এটি সম্ভবত সর্বশেষ জিজ্ঞাসাবাদ। এখন এই তদন্তে যুক্ত ব্যক্তিরা একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হতে পারে।
২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন। একটি কূটনৈতিক তারবার্তার বরাতে তিনি তখন দাবি করেছিলেন, তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডোনাল্ড লুর মধ্যকার কথিত কথোপকথনের বিস্তারিত প্রকাশ করে। গত বছরের ৭ মার্চ তাঁদের মধ্যে সেই কথাবার্তা হয়।