গত বছরের ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিচার সামরিক আদালতের করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে কি না, তা কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট করতে বলেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
গত বছর দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় তাঁর বিচার সামরিক আদালতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে এর আগে দাবি করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯ মের মামলায় তাঁকে সামরিক আদালতের বিচারের মুখোমুখি করার পথ সুগম করতে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক আইএসআই প্রধান জেনারেল (অব.) ফাইজ হামিদকে রাজসাক্ষী হতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল–এন) দেশটির পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের দায়িত্বে রয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে কি না, এ নিয়ে স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে পাঞ্জাব সরকার।
সম্প্রতি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরিফ চৌধুরীও এক বিবৃতিতে সামরিক আইনের অধীনে ইমরান খানের বিচারের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ সেনা আইনকে ব্যবহার করলে, তাঁদের বিষয়ে আইন তাঁর নিজস্ব গতিতেই চলবে।
এমন প্রেক্ষাপটে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে ইমরান খানের করা পিটিশনের শুনানি গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রহণ করেন বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব। সংবিধানের ১৯৯ অনুচ্ছেদের অধীনে গত সপ্তাহে এই পিটিশন করা হয়েছিল।
আদালতে ইমরানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আলি উজাইর ভান্ডারি। অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল মনসুর উসমান আওয়ানের প্রতিনিধি হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আজমত বশির তারার।
ইমরান খানের বিচার সামরিক আদালতে করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে কি না, তা কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারপতি মিয়াঙ্গুল।
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জারস সদস্যরা ইমরান খানকে গত বছরের ৯ মে গ্রেপ্তার করেন। এরপর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনাও আক্রান্ত হয়।