মাহমুদ খান আচাকজাই (বাঁয়ে) ও আসিফ আলী জারদারি
মাহমুদ খান আচাকজাই (বাঁয়ে) ও আসিফ আলী জারদারি

জারদারি–আচাকজাইয়ের মনোনয়নপত্র গৃহীত, পাকিস্তানে কে হচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট

পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। শাহবাজ শরিফ দেশটির ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এবার দেশটির আইনপ্রণেতারা একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন।

৯ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে আসিফ আলী জারদারি ও মাহমুদ খান আচাকজাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের দুজনেরই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

আসিফ আলী জারদারি পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট। তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো–চেয়ারম্যান। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী। ভোটের হিসাবে এবারের জাতীয় নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও শাহবাজ শরিফ সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে পিপিপি।

পাখতুনখাওয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টির প্রধান মাহমুদ খান আচাকজাই। সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সমর্থনে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) আইনপ্রণেতারা এসআইসির সঙ্গে জোট বেঁধে পার্লামেন্টে গেছেন।

পিএমএল–এন ও পিপিপি জোটের প্রার্থী জারদারি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন, এ ধারণা অনেকের। তবে বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, জারদারির জন্য ভোটের লড়াই সহজ না–ও হতে পারে।

জারদারির চ্যালেঞ্জের বড় কারণ, এবার প্রেসিডেন্ট পদে ভোটাভুটিতে অংশ না নেওয়ার কথা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে জমিয়ত উলামা–ই–ইসলাম ফজল (জেইউআই–এফ)। সেই সঙ্গে ভোট দিতে শর্ত জুড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম–পি)।

এর আগে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন জারদারি। সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের পদত্যাগের পর তিনি দায়িত্ব নেন।