ইমরান ও তাঁর স্ত্রী বুশরার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা একটি আবাসিক কোম্পানি থেকে বিপুল অর্থ ঘুষ পেয়েছিলেন।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে নির্বাচন। নির্বাচনের আগে ইমরানের বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে গতি বেড়েছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দুর্নীতির এক মামলায় অন্তত ৪ দফায় ৯ ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আল কাদির দুর্নীতি ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) চারটি দল
গত রোববার আদিয়ালা কারাগারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, এনএবির পৃথক চারটি দল সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ৯ ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় বিভিন্ন নথির বিষয়ে তাঁকে জেরা করা হয়।
আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্তে ১৫ নভেম্বর থেকে এনএবির কর্মকর্তারা আদিয়ালা কারাগারে আসা-যাওয়া করছেন। ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাঁচ হাজার কোটি রুপিকে বৈধতা দেওয়ার বিনিময়ে বাহরিয়া টাউন লিমিটেড নামের আবাসিক কোম্পানির কাছ থেকে তাঁরা বিপুল অর্থ ও জমি ঘুষ পেয়েছিলেন।
এ সমঝোতাসংক্রান্ত তথ্যগুলো গোপন করে মন্ত্রিপরিষদকে বিভ্রান্তিতে ফেলারও অভিযোগ আছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য থেকে উদ্ধার হওয়া অর্থগুলো জাতীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হয় ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। ইমরান খান এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন।
গত ৫ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন ইমরান খান। তোশাখানা (রাষ্ট্রীয় উপহার) মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। হাইকোর্ট এ মামলার সাজা স্থগিত করলেও কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের মামলায় তিনি কারাগারে আছেন।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানিতে গতি বেড়েছে। বিভিন্ন মামলায় আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁকে রাজধানী ইসলামাবাদের আদালতে হাজির করার কথা।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের এই মামলায় কারাগারের ভেতরে আদালত বসিয়ে ইমরানের বিচারকাজ চলছিল। এভাবে বিচার করাকে সম্প্রতি বেআইনি ঘোষণা করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বিশেষ আদালতের শুনানিতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।