পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে আজ আবেদন করবেন শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ
ফাইল ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) ভেঙে দেওয়া হবে। এ জন্য আজ বুধবার প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।

রাজধানী ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আগামীকাল (৯ আগস্ট) আমাদের সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। আমি প্রেসিডেন্টের কাছে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার আবেদন করব। এরপর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেবে।’

এর আগে শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হবে। এরপর সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতা রাজা রিয়াজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে তিনি এখনো প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনা করেননি। তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি, আগামীকাল (৯ আগস্ট) এ-সংক্রান্ত বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।’

পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। আর জাতীয় পরিষদ মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে।

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার যাত্রা শুরু করেছিল। তবে গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা আস্থা ভোটে হেরে ইমরানের সরকার ক্ষমতা হারায়। পরে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে।

এর পর থেকে নানা আইনি লড়াই সামলাতে হচ্ছে ইমরানকে। গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নির্বাচনে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। রাষ্ট্রীয় উপহার কেনাবেচায় দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার (তোশাখানা) মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে আদালতের সাজা ঘোষণার পর এ ঘোষণা দিলো ইসিপি।

তোশাখানা মামলায় গত শনিবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ রুপি অর্থদণ্ড করা হয়। সেদিনই লাহোরে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ইমরান। তাঁকে এখন পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে পাঠানো হয়েছে।