রেকর্ড বন্যার পর এবার পাকিস্তানে ডেঙ্গুর প্রকোপ

বন্যার জমে থাকা পানির পাশে বাস্তুচ্যুত অনেক মানুষকে বসবাস করতে হচ্ছে
ছবি: রয়টার্স

সাম্প্রতিক বিধ্বংসী বন্যার পর পাকিস্তানে আসন্ন নতুন এক সংকটের বিষয়ে সতর্ক করছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। পাকিস্তানের কিছু অংশে এখনো উদ্ধার অভিযান ও লোকজনকে সরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও মারাত্মক গ্যাস্ট্রিক সংক্রমণের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যায় পাকিস্তানে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মধ্য জুন থেকে শুরু হওয়া এই বন্যায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

জমে থাকা পানির পাশে বাস্তুচ্যুত অনেক মানুষকে বসবাস করতে হচ্ছে। ডেঙ্গুতে ইতিমধ্যে কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ৩ হাজার ৮৩০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন কমপক্ষে নয়জন। তবে বাস্তব পরিস্থিতির চেয়ে এই সংখ্যা কম বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর বলেন, ‘সিন্ধু প্রদেশের সার্বিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা গোটা প্রদেশে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনের ব্যবস্থা করছি। বেশির ভাগ রোগীই ডেঙ্গু আক্রান্ত। এর ঠিক পরেই রয়েছে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী।’

আবদুল গফুর আরও বলেন, গোটা প্রদেশেই ডেঙ্গুর ভয়াবহতার মাত্রা একই। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষার পর প্রায় ৮০ শতাংশেরই ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে।

করাচির আগা খান হাসপাতালে বহু ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন আবদুল গফুর। তাঁর আশঙ্কা, আসছে সপ্তাহগুলোতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

বন্যা শুরু হওয়ার পর দুই মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানজুড়ে কয়েক হাজার গ্রাম এখনো পানির নিচে। এতে অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক সড়ক এখনো ব্যবহার অনুপযোগী। চিকিৎসার জন্য অনেকের ভরসা ভ্রাম্যমাণ গাড়ি। এই সুযোগ পাচ্ছে খুবই কমসংখ্যক মানুষ।