পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি শেষ হওয়া পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচনে তাঁর দলকে হারাতে সরকার সবকিছু করেছিল। গতকাল বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন। ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা হামজা শরিফ ও পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনে তাঁর দলকে হারাতে কাজ করে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শরিফ যিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। গত শুক্রবার পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়। এতে জোটের শরিক পিএমএল-কিউ নেতা চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে প্রার্থী করে ইমরানের দল পিটিআই। তিনি পান ১৮৬ ভোট। ক্ষমতাসীন পিএমএল-এনের নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শাহবাজ পান ১৭৯ ভোট। কিন্তু পিএমএল-কিউ প্রধান চৌধুরী সুজাত হোসেন দলের সদস্যদের ভোটদানে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন দাবি করে পিএমএল-কিউয়ের ১০ ভোট বাতিল করেন ডেপুটি স্পিকার।
ডেপুটি স্পিকারের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে যায় পিটিআই। সেখানে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শাহবাজকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে ওই রায় দেওয়ার পর দিবাগত রাত দুইটায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-সমর্থিত চৌধুরী পারভেজ এলাহি নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
ইমরান খান এটাকে নিজেদের বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন। দেশের অর্থনীতির খারাপ অবস্থার জন্য বর্তমান সরকারকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশনারের অধীনে আগাম নির্বাচনই দেশের গভীরতর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়। ইমরান খান বলেন, এখন পাকিস্তানি জনগণ একটি জাতিতে পরিণত হয়েছে। এ সময় তিনি মন্তব্য করেন, ক্ষমতাসীন দলের সমস্ত অপকৌশল সত্ত্বেও পাঞ্জাবে পিটিআই যেভাবে সফল হয়েছে, তা ছিল একটি অলৌকিক ঘটনা।
ভাষণে পিটিআইপ্রধান দাবি করেন, আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন দেশের সঠিক অর্থনৈতিক সূচক ছিল। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে আমরা যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি, তা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছিল। পাকিস্তান যখন একটি ঊর্ধ্বমুখী যাত্রাপথে ছিল, ঠিক সে সময়ই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।’