পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশির মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি ঝুলে আছে। কারণ, ‘উচ্ছৃঙ্খল’ বিক্ষোভ থেকে বিরত থাকবেন বলে মুচলেকা দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন তিনি।
১৮ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি হাসান আওরঙ্গজেব কুরেশি দম্পতির আটকাদেশ বাতিল করেন। একই সঙ্গে বিচারক তাঁদের সতর্ক করে দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে থাকার অঙ্গীকারনামা জমা দিতে বলেন।
কুরেশির মেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া আটকাদেশ বাতিল চেয়ে আবেদনটি করেন। জনশৃঙ্খলা আইনে তাঁদের আটক করা হয়েছিল।
আজ শনিবার প্রকাশিত ডনের খবরে বলা হয়, কুরেশির আইনজীবী শুনানিতে আদালতকে বলেন, ৬৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ তাঁর কয়েক দশকের রাজনৈতিক জীবনে সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জনগণকে উসকে দেননি। উল্টো কুরেশি এক ভিডিও বার্তায় দলের কর্মীদের নাশকতামূলক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকতে বলেছেন।
যাহোক, আদালতকে যখন জানানো হয়েছে কুরেশি এ ধরনের মুচলেকা দিতে রাজি নন, তখন তাঁর আইনজীবী হলফনামা দাখিল করার জন্য অতিরিক্ত সময়ের আরজি জানান।
এদিকে পিটিআই নেতা আলী মোহাম্মদ খান ও মালেকা বুখারির আটকের আদেশ বাতিল করার পর তাঁদের পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে আদালত অবমাননা হয়েছে, এমন অভিযোগে করে আবেদনের বিষয়ে একই আদালত অ্যার্টনি জেনারেল ও ইসলামাবাদের আইজিপিকে জবাব দিতে বলেছেন। আদালত জানতে পেরেছেন তাঁদের মুক্তি দিতে হাইকোর্টের আদেশের পরও এই দুই নেতাকে আদিয়ালা কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে।
আদালতের আদেশে মুক্তি পাওয়র পর গত বুধবার পাঞ্জাব পুলিশ আলী মোহাম্মদকে ঝিলাম থেকে এবং মালেকা বুখারিকে রাওয়ালপিন্ডিতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চলতি মাসের ৯ তারিখে পাকিস্তানে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ১২৩ জন পিটিআই কর্মীকে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন লাহোর হাইকোর্ট। অনতিবিলম্বে তাঁদের ছাড়তে সরকারকে নির্দেশটি দেওয়া হয়। এই কর্মীদের ফয়সলাবাদ থেকে আটক করা হয়েছিল। এরপর তাঁদের পাঞ্জাবের বিভিন্ন কারাগারে রাখা হয়।
আটক কর্মীদের মুক্তির দাবিতে পিটিআই নেতা ফারুখ হাবিব আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি আনোয়ারুল হক এ আদেশ দেন।