নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিতে পারে, পিটিআই ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে নিষিদ্ধ তহবিল গ্রহণ করেছিল।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও দলটির শীর্ষ নেতারা যদি গত বছরের ৯ মে দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনায় যুক্ত থাকেন এবং ইমরান খান যদি তারবার্তা (সাইফার) মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন, তবে পিটিআইকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। পিটিআই–বিরোধী শিবির ইতিমধ্যে এ কথা বলতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
কয়েক বছরের অনুসন্ধানের পর পাকিস্তানের বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) সর্বসম্মতভাবে ঘোষণা দিতে পারে, পিটিআই ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে নিষিদ্ধ তহবিল গ্রহণ করেছিল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) সরকার পিটিআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিতে পারে। ইতিমধ্যে ইমরান খানকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
বিগত শাহবাজ শরিফের সরকারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দ্য নিউজকে গত শনিবার বলেছেন, ইসিপির রায় পিডিএম সরকারের জন্য পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের সামনে পিটিআইকে নিষিদ্ধ সত্তা ঘোষণা করার জন্য প্রশ্ন উত্থাপন করার একটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু তারা উপযুক্ত সময়ে এটি কাজে লাগানোর জন্য অপেক্ষায় ছিল।
বিগত সরকারের আইন ও বিচারমন্ত্রী এবং সিনেটে সংসদ নেতা সিনেটর আজম নাজির তারার বলেন, পিডিএম সরকার তখন ঋণখেলাপির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে সংগ্রাম করছিল এবং বিষয়টি বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। দ্য নিউজকে তিনি বলেন, পিটিআই নির্বাচনী আইনের বেশ কয়েকটি ধারা অমান্য করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে পিটিআইয়ের বৈধ অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ এসেছে, যাতে সর্বোচ্চ আদালত সুবিধামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
পাকিস্তানে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গতকাল রোববার ইমরান খানের ডাকে তাঁর দল পিটিআই দেশজুড়ে তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে। পুলিশের ধরপাকড়ের মধ্যেই ইমরান খানের দল কাল বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে। সমাবেশ শুরুর আগেই পিটিআই নেতা ও সাবেক মন্ত্রী হাম্মাদ আজহার অভিযোগ করেন, তাঁর বাবা মিয়া আজহারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি আরও অভিযোগ করেন, পাকিস্তানে আজ মানবাধিকার বা আইনের শাসন নেই। এটি সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। নওয়াজ শরিফ ও তাঁর মেয়ে গুলি চালিয়ে দেশকে ধ্বংস করছেন।
নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা ও প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগের মধ্যেই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে পিটিআই। দলের চেয়ারম্যান গহর খান গতকাল ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ইশতেহারে সামাজিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের অঙ্গীকার করেছে পিটিআই। একই সঙ্গে ঘোষিত ইশতেহারে মদিনার ইসলামি রাষ্ট্রের আদলে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে।