নির্বাচনের পর এই প্রথম কথা বলেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি বলেছেন, সব গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি ঐক্যবদ্ধ সরকারই ভালোভাবে দেশের বৈচিত্র্যময় রাজনীতি এবং বহুত্ববাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
জেনারেল আসিম মুনির বলেন, ‘নির্বাচন ও গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে পাকিস্তানের জনগণের সেবা করা, তাদের ব্যবহার করা নয়। ২৫ কোটি জনসংখ্যার এ অগ্রসরমাণ দেশটিতে বিশৃঙ্খলা ও মেরুকরণের রাজনীতি মানায় না। এগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখতে দেশে সুস্থির নেতৃত্ব প্রয়োজন, যার নেতৃত্বের ছোঁয়ায় সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান মনে করেন, নির্বাচন শুধু জয়-পরাজয় নির্ধারণের প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের মহড়া। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের কর্মীদের অবশ্যই নিজস্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শাসনক্ষমতা পরিচালনা এবং জনগণের সেবা করতে হবে।
কার্যকর ও দৃঢ় গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে সম্ভবত এটাই একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান।
বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাপ্রধান আশা করেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে। নির্বাচনকে শান্তি ও সমৃদ্ধির আগমনী বার্তা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫০ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। আসনসংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে সর্বশেষ ফলাফলে (বেলা পৌনে ২টা) ২৫২ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০০ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পিএমএল-এন ৭১, পিপিপি ৫৪ ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।