পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের লংমার্চ জোরালো হচ্ছে। এই লংমার্চ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের নেতা-কর্মীরা যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ অবস্থায় লংমার্চ যাতে ইসলামাবাদে ঢুকতে না পারে, সে জন্য ১৪৪ ধারার আওতাধীন এলাকা বাড়িয়েছে সরকার।
লাহোর থেকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) লংমার্চ শুরু করেছেন গত ২৮ অক্টোবর থেকে। এই লংমার্চ রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে আগাচ্ছে। লংমার্চ আজ সোমবার পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালায় পৌঁছানোর কথা। চলমান এই লংমার্চে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সিন্ধুর নেতা আলী হায়দার জাইদি ঘোষণা দিয়েছেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে করাচি টোল প্লাজা থেকে ইমরানের লংমার্চে যোগ দিতে যাত্রা শুরু করবেন।
এদিকে করাচি থেকে পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের আরেকটি দল লংমার্চ শুরু করছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মুখপাত্র মুসারারাত জামশেদ চিমা জানিয়েছে, তাঁদের দলটি আগামী শুক্রবার ইসলামাবাদে পৌঁছাবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকা যেমন খাইবার পাখতুনখাওয়া ও গিলগিট-বেলুচিস্তান থেকেও নেতা-কর্মীরা ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হবেন বুধবার। এ ছাড়া আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এ প্রসঙ্গে পিটিআই নেতা আসাদ ওমর বলেন, তিনি পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, ফয়সালাবাদ সফর করবেন। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন শিগগিরই আসছে।
এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের নিরাপত্তা জোরদার আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ জন্য রেড জোনের আওতা প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। রেড জোনে ১৪৪ ধারা জারি করে বলা হয়েছে, এসব এলাকায় কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করা যাবে না। দেশটির পার্লামেন্ট ভবন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এই রেড জোনের আওতায় রয়েছে।
এ ছাড়া ইমরানের লংমার্চ ঠেকাতে ইসলামাবাদে ১৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া লংমার্চ চলাকালে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা-কর্মীদের হোটেল বা অতিথিশালা ভাড়া না দিতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। এ জন্য ইসলামাবাদের পুলিশের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদের হোটেল ও অতিথিশালার মালিকদের। এই চিঠিতে লেখা হয়েছে, পিটিআইয়ের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে, এমন কাউকে কক্ষ ভাড়া দেওয়া উচিত হবে না। প্রতিটি হোটেল ও অতিথিশালার কক্ষে তল্লাশি চালানো হবে।