>• বালাকোট পাহারায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী
• কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না
• এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বা কর্মতৎপরতা দেখা যায়নি
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীকে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে দেশের বাইরে হামলা কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর কয়েক দিন পর গতকাল শুক্রবার তিনি এমন কথা বললেন।
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এক সমাবেশে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে বিদেশে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে দেবে না তাঁর সরকার। তিনি বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রম আমরা বরদাশত করব না।’
এদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই অভিযান যেন লোকদেখানো না হয়।
পাকিস্তানের বালাকোটের যে এলাকায় ভারত বিমান হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে, সেই এলাকায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিকদের যেতে দেয়নি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ওই এলাকায় একটি মাদ্রাসা আছে এবং সেটি ঘিরে বেশ কিছু ভবন আছে।
রয়টার্সের সাংবাদিকেরা গত ৯ দিনে তিনবার পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ওই এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে যাওয়ার পথে গ্রামবাসী বলেছেন, পাহাড়ি ওই এলাকায় একটি মাদ্রাসা আছে। মাদ্রাসাটি পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) তত্ত্বাবধানে চলত। ভারতের দাবি, মাদ্রাসাটি জেইএমের প্রশিক্ষণ শিবির।
ভারত বলেছিল, ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির বিমানবাহিনী পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ওই এলাকায় হামলা চালায়। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিজয় গোখলে বলেন, ওই দিনের হামলায় জেইএমের ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে অনেক সন্ত্রাসী, প্রশিক্ষক, জ্যেষ্ঠ কমান্ডার এবং কয়েক দল জিহাদি নিহত হয়েছে। তবে ভারতের এই দাবি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী বর্তমানে ওই এলাকা পাহারা দিচ্ছে। নিরাপত্তা অজুহাত দিয়ে কাউকে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে রয়টার্সের সাংবাদিকেরা ১০০ মিটার দূরে নিচ থেকে ওই এলাকা দেখতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা দেখেছেন, ওই এলাকাটি ঘিরে যে পাইনগাছগুলো রয়েছে, সেগুলো অক্ষত আছে। এ ছাড়া কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা কর্মতৎপরতার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি।
জেইউডির নিয়ন্ত্রণ নিল সরকার
এদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, লাহোরের চৌবুর্জিতে জামাত উদ দাওয়ার (জেইউডি) প্রধান কার্যালয় জামিয়া আল কাদসিয়া মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। জেইউডি নামের এই সংগঠনটির নেতা সাইদ হাফিজ। ভারত তাঁকে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে দাবি করে।
জামিয়া আল কাদসিয়া মসজিদে নতুন ইমাম নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ওই মসজিদে জুমার নামাজ পড়াতেন সাইদ হাফিজ। পাঞ্জাব কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং নতুন ইমাম নিয়োগ দেয়।