পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফকে শপথ পড়ানোর কয়েক ঘণ্টা আগে হঠাৎ ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়েন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক টুইটের বরাত দিয়ে জিয়ো নিউজ এ কথা জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের টুইটে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি অস্বস্তিবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসক ভালোভাবে তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং কয়েক দিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও ইমরান খানের অনুগত মনে করা হয়। প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সাঞ্জরানি নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজকে শপথ পড়ান।
জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। এরপর বিরোধী জোটের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে সোমবার জাতীয় পরিষদে ১৭৪ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে তাঁর ১৭২ ভোটের প্রয়োজন ছিল।
পিটিআই দলটির নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটি বর্জন করেন পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা। পার্লামেন্ট থেকে গণপদত্যাগেরও ঘোষণা দেন তাঁরা।
অনাস্থা প্রস্তাবের পেছনে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (যুক্তরাষ্ট্র) ষড়যন্ত্র রয়েছে অভিযোগ করে ইমরান খান বলেছেন, ‘আমদানি করা সরকার’ তাঁর দল মেনে নেবে না। এ জন্য জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় পিটিআইয়ের সংসদীয় দলের সভায়।
কার্যত অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি থেকে শুরু করে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানো পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন ইমরান খানের অনুগতরা। প্রথমে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির আগমুহূর্তে পদত্যাগ করেন জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার। এরপর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটি বর্জন করেন আইনপ্রণেতারা। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানোর বিষয়টি অসুস্থতার কথা বলে এড়িয়ে যান প্রেসিডেন্ট।