পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, বিদেশি অনুদান–সংক্রান্ত মামলার মধ্য দিয়ে তাঁর দলকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। বিচারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পিপিপি, পিটিআই ও পিএমএল-এনের মামলাগুলোর শুনানি একই সময়ে করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার করাচির বাঘ-ই-জিন্নাহতে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ইমরান। খবর জিয়ো নিউজের।
গতকাল একটি চার্টার বিমানে করে করাচি পৌঁছান ইমরান খান। সেখানে পিটিআই নেতা ইমরান ইসমাঈল ও সাবেক জাতীয় পরিষদ স্পিকার আসাদ কায়সারসহ দলীয় নেতা–কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান।
পরে বাঘ-ই-জিন্নাহতে সমাবেশ করেন ইমরান। তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়ে সমাবেশে অংশ নেওয়ায় শহরবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, পিটিআইয়ের স্বার্থ রক্ষা করাটা তাঁর করাচি সফরের উদ্দেশ্য নয়। বরং পাকিস্তান এবং দেশের শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এ কাজ করা হয়েছে।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ অনুদান–সংক্রান্ত মামলার প্রসঙ্গটি টেনে আনেন ইমরান। তাঁর দাবি, পিটিআইকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায় করার জন্য মামলা দেওয়া হয়েছে। ইমরান বলেন, ‘আমি বলব, বিদেশি অনুদানের মামলা ও তাঁর (শাহবাজ শরিফ) বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির মামলার শুনানি এক সঙ্গে হওয়া উচিত।’ ইমরানের আশঙ্কা তাঁর এবং তাঁর সাবেক মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) ও জাতীয় জবাবদিহি সংস্থা (এনএবি)।
ইমরান আরও বলেন, ‘আপনারা যদি আমাদের দেয়ালের দিকে ঠেলে দেন, তবে আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, দেশ নয়। আমাদের শান্তিপূর্ণ থাকতে হবে।’
সমাবেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান দর্শক-শ্রোতাদেরকে তাঁর কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনার জন্য অনুরোধ করেন। যেন তাঁরা বুঝতে পারেন, ইমরানকে অপসারণের ক্ষেত্রে কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করেছে কি না। যাঁরা বিশ্বাস করেন ইমরানকে উৎখাতে ষড়যন্ত্র হয়েছে, তাঁদের হাত তুলে সমর্থন প্রকাশের অনুরোধ জানান তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর দেশের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ইমরানের দাবি, তিনি যত দিন ক্ষমতায় ছিলেন, তত দিন মানবতার জন্য কাজ করেছেন। কোনো দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেননি।
সমাবেশে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে নিয়েও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন ইমরান। তিনি বলেন, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে ছিলেন পিএমএল-এন প্রধান। তিনি বলেন, ‘দুবার মিথ্যা কথা বলে তিনি পালিয়ে গেছেন। এখন তিনি ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’