পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সিন্ধু হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। জিও টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ইমরান খান সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করায় তাঁরা ‘ক্ষুব্ধ’। দুই মাস আগে এই বিচারপতি অবসরে গেছেন।
সিন্ধু বার অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ইমরান খান ‘অশুভ উদ্দেশ্যে এই মনোনয়ন’ দিয়ে তাঁর সরকার ও বিচার বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের মধ্যে সম্পর্ক আগের মতো আছে বলে জনগণের মধ্যে ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন।
গত রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দেন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপর ইমরান খানের পরামর্শ মেনে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরানের দায়িত্ব অবসানের কথা জানিয়ে বিবৃতি দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্য দেশটিতে নির্বাচন করতে হবে।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের নাম প্রস্তাব করেছেন ইমরান খান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ে, সাবেক প্রধান বিচারপতি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব মেনে নেন, তাহলে এটি স্পিকার এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকারের নির্লজ্জ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক কাজগুলোকে সমর্থন করার সমতুল্য হবে।
একই বিবৃতিতে, ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা ভোট আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে মামলাটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি করতে সুপ্রিম কোর্টের (এসসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।
সিন্ধু হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সুপ্রিম কোর্টকে আজই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানায়। সংগঠনটি মনে করে, এটি পক্ষপাতিত্ব ও অংশীদারত্বের যেকোনো অভিযোগ থেকে আদালতকে রক্ষা করবে।