পাকিস্তানে বেলুচিস্তানের রাজধানী শহর কোয়েটায় সেরেনা হোটেলে ভয়াবহ বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবান। হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত চারজন নিহত হন এবং আহত ১২ জন। গতকাল বুধবার রাতে শক্তিশালী এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, চীনের রাষ্ট্রদূতকে হত্যার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশটিতে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় আফগান সীমান্তবর্তী উপত্যকা অঞ্চলগুলো তালেবানসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তালেবানের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, তাঁরাই এ হামলা চালিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল আত্মঘাতী হামলা। হোটেলের ভেতরে গাড়িভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে ঢুকে পড়ে আমাদের আত্মঘাতী হামলাকারী।’
এ ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মির জিয়াউল্লাহ বলেন, ‘এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের ঢেউ চলছে। এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আমাদের নিজেদের লোকজনই জড়িত।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত। তবে তিনি বিস্ফোরণের সময় ওই হোটেলে ছিলেন না। মন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটু আগেই চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি সুস্থ ও ভালো আছেন।’ এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত সায়ানি এক টুইটবার্তায় বলেন, এ হামলার ঘটনায় সম্ভাব্য সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হবে। এর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে ২০১৯ সালে বেলুচিস্তানের গোয়াদার শহরে এক পাঁচ তারকা হোটেলে বোমা ও বন্দুক হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন। নিষিদ্ধ বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এ হামলার দায় স্বীকার করে। বেলুচিস্তানের একাধিক গোষ্ঠী প্রদেশটির স্বাধীনতার দাবিতে লড়ে আসছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটিতে চীনা অবকাঠামো ও ব্যাপক বিনিয়োগের বিরোধিতা করে আসছে।