সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় পাকিস্তানের এক সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। গতকাল শনিবার সকালে তাঁকে নিজ বাসা থেকে টেনেহিঁচড়ে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই সাংবাদিকের ছেলে।
রিজওয়ান রাজি, লাহোরের বেসরকারি টিভি চ্যানের দীন টিভিতে কর্মরত। পাকিস্তানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জানায়, বিচারব্যবস্থা, সরকারি ও গোয়েন্দা পরিষেবার সম্পর্কে ‘অপমানজনক ও আপত্তিকর’ মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে সরকারি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রিজওয়ান রাজির ছেলে ওসামা গতকাল সকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার বাবা কয়েকজন বন্ধুকে বিদায় জানাতে ঘর থেকে বের হন। যখন তাঁর বন্ধুরা চলে যান, তখন কয়েকজন আগন্তুক আসেন। তাঁরা হোন্ডা ব্র্যান্ডের কালো সিভিক গাড়ি নিয়ে আসেন। বাবাকে টেনেহিঁচড়ে মারধর করে গাড়িতে তোলা হয়। আমি গাড়ির পেছনে পেছনে দৌড় দিই। তবে কিছু করতে পারিনি।’
পাকিস্তানের তদন্তকারী সংস্থা দ্য ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি রিজওয়ান রাজিকে এর আগে টুইটারে এক মন্তব্যের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করারও অনুমোদন নেওয়া হয়। এফআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে টুইটারে সরকারবিরোধী মন্তব্য করে আসছেন রিজওয়ান। তখনো পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। সেবার ক্ষমা চেয়ে রেহাই পান।
গত বছর নির্বাচনে পর তেহরিক–ই–ইনসাফের প্রধান ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর থেকেই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়েছেন সাংবাদিকেরা—এমন অভিযোগ উঠেছে। সরকারের ক্রমবর্ধমান চাপে কঠিন সময় পার করছে পাকিস্তানের বিভিন্ন মিডিয়া। তাদের বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমেছে। এ কারণে নিউজরুমের বাজেটও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মিডিয়ায় চাপ প্রয়োগ করার বিষয়টি অস্বীকার করছে সরকার।