পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে কাল সোমবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসছে। আজ রোববার পাকিস্তানের জিয়ো নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
দিনভর নানা নাটকীয়তা শেষে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত দুইটার দিকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান খান। ৩৪২ আসনের পার্লামেন্টে তাঁর বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ১৭৪টি। তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে দরকার ছিল ১৭২ ভোট।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সচিবালয়ের বরাত দিয়ে জিয়ো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ১১ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় অধিবেশন শুরু হবে। কিন্তু পরে এই সময় পরিবর্তন করা হয়। এখন ১১ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা দুইটায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আগ্রহী প্রার্থীরা আজ স্থানীয় সময় বেলা দুইটা পর্যন্ত তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। আজ বিকেল তিনটা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, কাল বিকেল তিনটায় জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে।
ইমরান পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর ক্ষমতাচ্যুতির মধ্য দিয়ে দেশটির নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না। ভোটে নির্বাচিত ইমরান ২০১৮ সালের আগস্টে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।
পাকিস্তানে অনাস্থা ভোটে কারও প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর এটাই প্রথম ঘটনা। আগে কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হলেও তাঁরা টিকে গিয়েছিলেন।
ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাঁর নাম সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে, তিনি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ।