ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলটির সর্বোচ্চ নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাজা বাতিল অথবা স্থগিত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এ ক্ষেত্রে ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকারের আইনি বিধান প্রয়োগ করা হবে। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে ডন এ কথা জানিয়েছে।
ফেডারেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ খান একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে বলেন, কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির সাজা বাতিল ও স্থগিত করা এবং এর আগে ‘ভুলভাবে’ দণ্ডিত হলে তাঁর মামলা একটি আদালতে নতুন করে শুনানির সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষমতা ফেডারেল ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকার উভয়ের আছে। তিনি বলেন, এই বিধান পিএমএল-এন সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ ও অন্যদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হতে পারে। তবে তিনি বলেন, নিজের স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর ভিত্তি করে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন নওয়াজ শরিফ। চিকিৎসার কথা বলে ২০১৯ সালে লন্ডনে গিয়ে স্বেচ্ছানির্বাসিত জীবনযাপন করছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট ২০১৭ সালে নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে সাজাভোগের সময় চিকিৎসার কথা বলে তিনি লন্ডনে যান। তাঁকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া ‘বড় ভুল’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বিরোধী জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গত ৯ এপ্রিল বিদায় নেয় ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার। নতুন নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকারের আদলে সরকার গঠন করে বিরোধী দলগুলো। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজ শরিফ। নওয়াজের অনুপস্থিতিতে ছোট ভাই শাহবাজই পিএমএল-এনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পরই নওয়াজ শরিফের দেশে ফেরার গুঞ্জন ওঠে। ঈদুল ফিতরের পর তিনি পাকিস্তানে ফিরতে পারেন বলে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা জানিয়ে আসছেন। তবে বিষয়টি জোটের শরিকদের সঙ্গে আলাপ করে চূড়ান্ত করা হবে বলে তাঁরা জানান।